গাজীপুরে ছেলে হত্যার বিচার চাইলে পিতাকেও খুন করে সন্ত্রাসীরা 108 0
গাজীপুরে ছেলে হত্যার বিচার চাইলে পিতাকেও খুন করে সন্ত্রাসীরা
রনি আহমেদ:
বুধবার (১৮ আগস্ট)২০২১ইং দুপুরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২২নং ওর্য়াডের বাহাদুরপর এলাকায় লোমহর্ষক এ ঘটনার সূত্রপাত ।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানান,আসাদুল ইসলাম গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সদর থানাধীন বাহাদুরপুর তুলসীভিটা এলাকার ফিরোজের বাড়িতে সপরিবারে ভাড়ায় থাকতেন। স্থানীয় একটি পোশাক তৈরি কারখানায় চাকরি করতেন তিনি। গত ৩ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে তার ছেলে মো.নয়ন মিয়াকে (১২) তুরাগ নদীতে মাছ ধরার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে আঙ্গুটিয়াচালা এলাকায় নিয়ে যায় । নয়নের প্রতিবেশী সেজু (২৫),আনন্দ (২১),বাবলু মিয়া (৪২) ও শাহীন হোসেন (১৯)সহ কয়েকজন যুবক। সেখানে নৌকা থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয় নয়ন। পরে সন্ধ্যায় ঐ নদী থেকে নয়নের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে নৌকা থেকে নদীতে ফেলে দিয়ে নয়নকে খুন করার অভিযোগ করেন নিহতের বাবা আসাদুল ইসলাম। নয়ন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রতিপক্ষ সুজন মাহমুদ ও আলমগীর হোসেন সমর্থকদের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এ নিয়ে গত সোমবার বিকেলে গ্রাম্য সালিশি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ঐদিন আসাদুল ইসলামের প্রতিপক্ষের লোকজন উপস্থিত না থাকায় সালিশি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। পরবর্তীতে বুধবার বিকেল ৩টার দিকে বৈঠকের দিন নির্ধারণ করা হয়। ঐ সালিশিকে কেন্দ্র করে আসাদুল ইসলামকে স্থানীয় আলমগীর হোসেন তার বাড়ির উঠানে কৌশলে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে আলমগীর,মোজাম্মেল বেপারী ও হবি বেপারীসহ তাদের লোকজনের সঙ্গে আসাদুলের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তারা আসাদুল ইসলামকে মারধর করে। এতে গুরতর আঘাত পেয়ে আসাদুল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।অবস্থা বেগতিক দেখে স্থানীয়দের সহযোগীতায় আসাদুলকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু বলে ঘোষনা করে ।
সৈয়দ বায়েজিদ উপ পুলিশ পরিদর্শক,সদর থানা জিএমপি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত আসাদুল ইসলাম (৫২) গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানাধীন পাঁচউলিপুর এলাকার মৃত গোলাম উদ্দিনের ছেলে।
ঘটনার তথ্যমতে সৈয়দ বায়েজিদ (উপ পুলিশ পরিদর্শক ) সদর থানা জিএমপি বলেন,খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের চোখের পাশে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।